টাইম মেশিনের রহস্য- "আমি ২০৩০ সাল থেকে আসছি"

হাই বন্ধুরা আমরা শুধুমাত্র চলচ্চিত্রতেই টাইম মেশিন কে দেখেছি । কিছু মানুষ আছে যারা কঠোর ভাবে বিশ্বাস করেন টাইম মেশিন এর অস্তিত্ব আছে এবং রীতিমত সময় যাত্রা হয়েও চলেছে । আবার কিছু মানুষ মনে করেন টাইম মেশিন আমাদের ভবিষ্যৎ । আবার কারো কারো কাছে সময় যাত্রা শুধুমাত্র রূপকথার কাহিনী ।

AllAcquire.xyz
Time travel

এ তো গেল সাধারণ মানুষের কথা । এবার কিছু অসাধারণ মানুষকে নিয়ে কথা বলা যাক । যাদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করেছে তারা সমাজযাত্রা করে এসেছে । আবার কেউ কেউ দাবি করে যে তারা প্যারালাল ইউনিভার্স থেকে এসেছে ।


এর মধ্যে কিছু কাহিনী ও বাস্তব কাকতালীয়ভাবে মিলে গিয়েছে  । ফলে বিজ্ঞানীরা এই ঘটনা গুলোকে খতিয়ে দেখতে বাধ্য হয়েছে । আমি জানিনা আপনি সমাজ যাত্রাতে বিশ্বাস করেন কিনা । তবে তাদের কাহিনী শুনে হতচকিত ও রোমাঞ্চিত হবেনই । কারণ এগুলি ছিল খুবই রহস্যময় ঘটনা । তাই আজকের রহস্যময় এই ভিডিওটিকে চলুন শুরু করা যাক।



1. A man in a plane

1954 সালে ইউরোপ থেকে জাপান গামী একটি বিমান জাপানের এয়ারপোর্ট ল্যান্ড করলো । সব সময়ের মতোন ই সেইদিন চেকইন কাউন্টারের বিমান থেকে নামা যাত্রীদের টিকিট ও পাসপোর্ট চেক করা হচ্ছিল । কিন্তু এ সময় চেকিং অফিসাররা জানতেন না কি অদ্ভুত ঘটনার সম্মুখীন হতে চলেছেন তাঁরা ।


বিজনেসম্যান এর মত পোশাক আশাক পরা একজন ব্যক্তি কাউন্টারে এলেন । তার পাসপোর্ট থেকে বোঝা গেল তিনি টরেন নামক এক ইউরোপীয় দেশের বাসিন্দা । অবাক করার মত বিষয় এটাই যে টরেন্ট নামক কোন দেশ আমাদের পৃথিবীতেই নেই ।


আর আমিও জানি আপনি এই দেশটির কথা কোনদিনও শোনেননি । অফিসাররা ভাবলেন টিকিট ছাপানোর সময় নিশ্চয়ই বানান ভুল হয়েছে । কিন্তু সেই ব্যক্তি জানান তিনি মাঝে মধ্যেই তার দেশ টরেন্ট থেকে অন্যান্য দেশে বিজনেস ট্রিপ এ যান এবং এর আগেও তিনি অনেকবার জাপানে এসেছেন ।


চেকিং অফিসাররা পুলিশ ডাকলেন এবং ঐ ব্যক্তিকে আরো প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হলো । পুলিশি জেরায় বিরক্ত হয়ে তিনি তাঁর পাসপোর্টটি খুলে দেখালেন । তার ঐ পাসপোর্ট টিতে অন্যান্য অনেক দেশেরই অরিজিনাল সিলমোহর ছিল । এমনকি জাপানের সিলমোহর ও ছিল ।


এর থেকে প্রমাণ হয়ে যায় যে তিনি এর আগেও অন্যান্য দেশে গিয়েছিলেন ও জাপানেও এসেছিলেন । পাসপোর্ট ছাড়াও ঐ ব্যক্তির একটি লাইসেন্স পুলিশ দেখতে চান এবং সেই লাইসেন্স টি দেশের নাম ছিল টরেন । পুলিশ কনফিউজ হয়ে যায় । তাই পুলিশ তার ডকুমেন্ট এর কপি নেয় এবং সেগুলো কে একটি গুপ্ত স্থানে রেখে দেয় ।


এই ব্যক্তির সামনে একটি মানচিত্র রাখা হয় । এবং বলা হয় যে এই মানচিত্রে তার দেশকে চিহ্নিত করতে । তিনি ফ্রান্স ও স্পেন এর মাঝে অবস্থিত একটি স্থান কে চিহ্নিত করেন এবং বলেন এখানেই তাঁর দেশ অবস্থিত । কিন্তু আমরা সবাই যেমনটা জানি যে এইখানে টরেন্ট নামক কোন দেশি নেই ।


এই সমস্ত দেখে ঐ ব্যক্তিটি একটু চিন্তায় পড়ে যায় । পুলিশ তাকে একদিন অপেক্ষা করতে বলেন এবং উপরিমহলের অফিসারদের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছিলেন । ওই ব্যক্তিটি কে প্রশাসনের কড়া নজর বন্দিতে একটি হোটেল রুমে রাখা হয়েছিল ।


কিন্তু পরের দিন যা ঘটল তা শুনে আপনি চমকে উঠবেন । যখন পরেরদিন রুমের দরজা খোলা হয় তখন ওই ব্যক্তিটি কে আর দেখা যায় না । আপনি হয়তো বলবেন যে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন । কিন্তু জাপানের অত করা সিকিউরিটি কে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল ।


ব্যক্তিটি যেন কুরপুরের মতন উরে গিয়েছিল । এছাড়াও তার কাছ থেকে সংগৃহীত ডকুমেন্টগুলিও উধাও হয়ে গিয়েছিল । 


এবার প্রশ্ন হচ্ছে ওই ব্যক্তি যদি সত্যিই সিকিউরিটি কে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গিয়েই থাকে তবে ডকুমেন্টগুলি কোথায় গেল ? সেই ডকুমেন্টগুলো গোপন স্থানে রাখা হয়েছিল । যার হদিশ ওই ব্যক্তির কাছে ছিল না ।


তাহলে কোথায় গেল ওই জল জ্যান্ত মানুষ টি ? আর কোথায় বা গেল ওই বদ্ধ লকারের মধ্যে থাকা ডকুমেন্টগুলি ? এই ঘটনাটি সত্যি খুবই রহস্যময় । এই ঘটনার বেশ কয়েক বছর পর 1979 সালে দা ডকুমেন্টস অফ পসিবিলিতিজ এবং স্ট্রেঞ্জ বাট ট্রু নামক দুটি বইয়ে কাহিনীটিকে ছাপানো হয় ।


অনেকে মনে করেন ওই ব্যক্তিটি প্যারালাল ইউনিভার্স থেকে এসেছিল এবং সেখানে হয় তো টরেন নামক কোন দেশ সত্যিই আছে । আবার অনেকে বলেন ওই ব্যক্তিটি হয়তো ভবিষ্যত থেকে এসেছিল এবং ভবিষ্যতে হয়ত ট্রন নামক দেশ সৃষ্টি হবে ফ্রান্স এবং স্পেনের মাঝে । এই কন্সপিরেসি থিওরি গুলির কোনোটিই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় । তবে ঘটনা গুলি সত্যি খুবই রহস্যজনক । 


এতো গেল একটি রহস্যময় ঘটনা । এখনো আরো দুটি রহস্যময় ঘটনা বাকিই রয়েছে । 



2. The unknown shop

সময় টা ছিল 1973 সাল । স্কোয়ারাল নামক এক ব্যক্তি ইংল্যান্ডে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন । রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তার কিছু জিনিস কেনার কথা মনে পড়ে ।


তখন তিনি রাস্তার পাশের এক স্টেশনারি দোকানে ঢুকলেন । দোকানটি ছিল বেশ পুরনো এবং আশ্চর্যজনকভাবে দোকানদার মেয়েটিও তৎকালীন সময়ের চেয়ে প্রায় 50 বছর আগের সময়ের স্টাইলিশ সাজ পোশাক পরেছিলেন ।


ওই ব্যক্তি ব্যাপারটিকে ততটা গুরুত্ব দেয় না । তিনি তাঁর দরকারি কিছু জিনিস ও একটি চিঠির খাম কিনে দোকান থেকে চলে যান । এই ঘটনার সপ্তাহ খানিক পর স্কোয়ারাল দরকারী কোন কাজে এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং যেখান থেকে তিনি আগের সপ্তাহে কেনাকাটা করেছিলেন, তিনি দেখেন সেই দোকানের স্থানে একটি আধুনিক দোকান ঝলমল করছে ।


এই দৃশ্য দেখে তিনি ওই নতুন শো-রুম টিতে গেলেন এবং ওই পুরনো দোকান এবং দোকানদার মেয়েটির কথা জিজ্ঞাস করলেন । কিন্তু সেখানে উপস্থিত কেউই বুঝতে পারছিলেন না যে স্কোয়াররেল কি বলছেন ।


তখন ঐ নতুন দোকানের মালিক তাকে জানালেন যে এই দোকানটি বহু বছর ধরে এখানে রয়েছে এবং ঐরূপ কোন মেয়ে কর্মচারী এখানে কাজও করেনি । তখন স্কোয়াররেল পকেট থেকে ওই চিঠির খাম টিকে বের করে দেখল এবং মালিক জানালো এরকম খাম তারা কখনোই বিক্রি করেননি ।


স্কোয়াররেল এই ঘটনায় খুবই হতবাক হয়ে যায় এবং এই ঘটনাটি তিনি সবাইকে জানায় । ঘটনার পেছনের রহস্য উদঘাটনের উদ্দেশ্যে এক্সপার্টরা যখন এই খাম টিকে পরীক্ষা করেন তখন সবাই অবাক হয়ে যায় । ওই খামটি 50 বছর পুরনো । শুধু তাই নয় ।


1920 সালে ওই খাম বানানো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । তাহলে স্কোয়াররেল এর কাছে কি করে সেটা এসেছিল এবং স্কোয়াররেলের সাথে কি হয়েছিল? অনেকে মনে করেন যে তিনি টাইম ট্রাভেল করে অতীতে চলে গিয়েছিলেন ।


যেখানে ঐ একই স্থানে একটি দোকান ছিল । আবার অনেকে এই ঘটনাকে বিশ্বাস করে না । কারণ এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নেই তিনি হয়তো তার কোন পুরনো কালেকশন নিয়ে মজা করছিলেন । কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন এ ঘটনা সম্বন্ধে আপনাদের মতামত কি । 


3. একটি সময় যাত্রীর গল্প 

2000 সালে পোস্ট to পোস্ট আর্টিভেল নামক একটি ফোরামে সবাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করত । দোসরা নভেম্বর জন ডাইডন নামক একটি নতুন অ্যাকাউন্ট যুক্ত হয় সেই ফোরামে ।


তিনি ফোরামে একটি পোস্ট করেন এবং এই পোস্টটি গোটা বিশ্বের মানুষকে হতভম্ব করে দিয়েছিল । ওই ব্যক্তি পোস্টে লিখেছিল আমি একজন সময় যাত্রী । 2036 সাল থেকে এসেছি । 1975 সালের একটি কম্পিউটার আইবিএম 5100 কে নিতে গিয়েছিলাম ।


আমেরিকান গভারমেন্ট সময়যাত্রার এই প্রোজেক্টের জন্য বিশেষভাবে আমাকেই নির্বাচিত করেছেন । কারণ আমার ঠাকুরদা আইপিএম কম্পিউটার কোম্পানিতে কাজ করতেন এবং এই কোম্পানির সাথে সরাসরি যুক্তও ছিলেন ।


আমি 2000 সালের থেমেছি । আমি আমেরিকার সেনাবাহিনীর একজন অফিসার । ফ্লোরিডার ক্যাম্পাস শহরে আমি থাকি । বেশিরভাগ লোক এই পোস্টটিকে মিথ্যে ভেবে ইকনোর করে । কিন্তু কিছু মানুষ তার সময় যাত্রী হওয়ার প্রমাণও চেয়েছিল ।


এরপর সে যে পোস্টটা করেছিল তা দেখে বিজ্ঞানীরাও চমকে যেতে বাধ্য । তিনি টাইম মেশিনের ডিজাইন এর ছবি পোস্ট করেন । তার মতে মেশিনটির নাম c2004 টাইম ডিসপ্লেসমেন্ট ইউনিট এবং এই মেশিনটি তার গাড়িতে ফিট করে আছে বলে তিনি দাবি করেন । এছাড়াও তিনি কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে গুলির মধ্যে বেশিরভাগই মিলে গিয়েছিল ।


তিনি বলেছিলেন সাউথ আফ্রিকার পেরুতে ভূমিকম্প হবে । তার পোস্টের কয়েক মাস পরেই 26 শে জুন 2001 সালে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটি হয়েছিল পেরুতেই । যাতে প্রচুর মানুষ অনেক ক্ষতির শিকার হয়েছিল এবং প্রাণ হারিয়েছিল অনেক মানুষ ।


স্পেস স্যাটেলাইটের ওভার এটিং এর ব্যাপারেও নজর দিতে বলেছিলেন তিনি । তার পরেই কলম্বিয়ায় স্পেস স্যাটেলাইট ওভার রেটিং এর জন্য দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল । আর এইসব পোস্ট দেখে বিজ্ঞানী হতবাক হয়ে গিয়েছিল ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url