বাংলা লাভ স্টোরি: ক্লাস ফ্রেন্ডের সাথে প্রেম

আমি হলাম মেহেদি । ইনটার 1st পড়ি । আমি কলেজে যেতাম ঠিকই কিন্তু কোনো পড়া লেখা করতাম নাহ । বিড়ি খেতাম এবং বন্ধু দের সাথে মজা করে বেরাতাম । 

Bangla love story
Bangla love story

একদিন কলেজের এক কোনায় বসে বন্ধু দের সাথে মজা করছিলাম । এমন সময় একটা ছবি আমার মুখে  এসে পড়ে গেলো  । আমি হাত দিয়ে ছবি টা তুললাম দেখি এক পরির মতো একটা মেয়ে । আমি কিছুক্ষন ধরে ছবি টার দিকে তাকিয়ে রইলাম । হটাত্ শুনতে পেলাম । 


ফারজানা : Helo........ ছবি টা আমার

মেহেদি : আমি বল্লাম ও এই নেন । 

ফারজানা : Thank U....

মেহেদি : আপনি কি নতুন এই কলেজে । 

ফারজানা : হুম ।

আমার দেরি হয়ে যাবে ক্লাসে আমি ক্লিসে যাচ্ছি । 


মেহেদি : আমি তাকে কিছু আর বলতে পারলাম নাহ ।আমি আমার বন্ধুদের কে বললাম তো থাক ভাই । আমি ক্লাসে যাই । 


এর মধ্যে এক বন্ধু বলে উঠলো । 

জিসান : মেহেদি কি ব্যাপার তুই তো কোনো দিন ও ক্লাস করিসা নাহ । 

মেহেদি : তোদের ভাবি কে পটাতে হবে না 

জিসান : বুজে গেছি । কোনো সাহায্য লাগলে বলিস । 

মেহেদি : হুম । অমি এখন যাই । 

 আমি ক্লাসে দেখে সবাই একটু অবাক হলো । 

আমি গিয়ে ফারজানার পাশে র বেনচে তে গিয়ে বসে পরলাম । 

ফারজানা : কি ব্যাপার । Mr. তুমি কি আজ থেকে ভালো হয়ে গেলে নাকি । 

মেহেদি : কেনো । ?

ফারজানা : শুনলাম তুমি নাকি কলেজে আসো কিন্তু

ক্লাসে আসো না । আর বিড়ি খাও । বন্ধুদের সাথে সারাদিন মজা কর । 

মেহেদি : ভালো  হচ্ছি একটা পরির জন্য ।

ফারজানা : কে সেই পরি ।

মেহেদি : একটু দ্রুত বললাম, তুমি ।

ফারজানা : বুজতে পারি নাই আবার বলো ।

এর এই ভিতরে স্যার আসলো »

সবাই উঠে দারালো ।

এবং স্যার আমার দিকে তাকালো ।



স্যার : মেহেদি কি ব্যাপার । আজ ক্লাসে যে ।

মেহেদি : স্যার আমি ভালো হয়ে গেছি না ।


ও ভালো!

স্যার পাড়াছেন । আর আমি ফারজানার দিকে তাকিয়ে আছি । তার ঠোঁট দুইটি লাল টুকটকে । আর চোখ দুটো তার কত মায়াবি বলে বোজাতে পারবো নাহ । 


এভাবে কয়েক দিন চলতে থাকলো ।এর ভিতরে ফারজানা ও আমার খুব ভালো বন্ধু হতে থাকলো ।



এক দিন আমি বন্ধু দের সাথে সিগারেট খাচ্ছিলাম তখন ফারজানা এসে আমার হাত থেকে সিগারেট টা নিয়ে ফেলে দিলো  এবং বলতে শুরু করলো 

ফারজানা : মেহেদি এগুলো কি তু সিগারেট খাচ্ছো । আজ থেকে আমার সাথে আর কথা বলবা নাহ।


এটা বলে ফারজানা চলে গেলো । আমার ও অনেক খারাপ লাগছিলো । তা আমি আজ বাড়ি চলে আসি এবং ঘরে গিয়ে সুয়ে পর লাম এবং এই গুলা ভাবতেছিতার পর একটু ঘুমিয়ে নিলাম । সন্ধ্যায় উঠে সাদে বসে আছি । এমন সময় 

জিসানের ফোন ।


আমি ফোন রিসিব করলাম 

জিসান : কি ব্যাপার পার্রকে দিকে আয় 

মেহেদি : না ভাই । আর তোদের জন্য একটা খারাব খবর আছে । আমি আর তোদের সাথে মিশতে পারবো নাহ । 


জিসান : কেনো ফারজানা মানা করেছে বুজি । 

মেহেদি : ভাই তেমন টা না । এরই ভিতরে জিসান বলল 

জিসান : রাখ। বিদায়।


আমি কিছু বলার আগে জিসান ফোনটা কেটে দিলো। আবারও এসে সুয়ে পড়লাম আমার আর কিচ্ছু ভালো লাগছে না । 


তাই আমি ফেচবুক চালাচ্ছিলাম । ফেসবুক চালাত চালাতে আম্মুর ডাক । 

আম্মু : মেহেদি খেতে আসো অনেক টা হতে চলেছে ...

মেহেদি : আম্মু  আসছি ।


তারপর আমি খেয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম । তারপর সকালে উঠে কলেজে যাওয়ার প্রসস্তি নিচ্ছিলাম । আম্মু বলল দুটো খেয়ে যা বাবা । 

মেহেদি : আম্মু আমার দেরি হয়ে যাবে । 

আমি কলেজে পৌছালাম ওদিক থেকে ফারজানা ও আসছে । 

মেহেদি : আমি Hi ফারজানা কেমন আছো ।

ফারজানা : ভালো, তুমি?

আমারা কথা বলতে ছি আর হাটতেছি । 

ফারজানা : আজ আর কাল মিলে কইটা সিগারেট খাইছো । 

মেহেদি : একটা ও না । বিশ্বাস কর । 

ফারজানা : বুজলাম, তুমি ক্লাসে যাবে?

মেহেদি : হুম । 

ফারজানা : চলো ।


আমি আজ গিয়ে ফারজানার পাশে গিয়ে বসলাম । 

ফারজানা : মেহেদি তুমি ঐ সিটে গিয়ে বসো ।

মেহেদি : কেনো ।

ফারজানা : আমি কিন্তু বসতে বলচ্ছি । 

মেহেদি : আচ্ছা ঠিক আছে ।  

আমি গিয়ে ও পাশের সিটে গিয়ে বসি ।


স্যার আসলো । পড়াছিলো। আর আমি ও পড়ছিলাম । আমি এক বার ফারজানা র দিকে তাকাতেই ফারজানা মুখ ঘুরায়া নিলো । আমার মনে হয় ফারজানা আমাকে পছন্দ করে না । ও আমাকে কেমনে পছন্দ করবে ও কোথায় আর আমি কোথায় । এগুলো আমি মনে মনে ভাবতেছি । 


ক্লাস শেষে ফারজানা কে বললাম 

মেহেদি : ফারজানা তোমার নাম্বার টা দেওয়া যাবে । 

ফারজানা : কেনো । 

মেহেদি : ( হেসে ) বললাম ঐ এমনি একটু কথা বলতাম । না দিলে ও সমষ্যা নাই । 

ফারজানা : তোমার ফোন টা দাও নাম্বারটা দিচ্ছি ।

আমি ফোন টা দিলাম ও নাম্বারটা তুলে দিলো এবং আমি সেভ ও করে নিলাম বাড়ি গেলাম ।

ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে আসলাম । 


আম্মু দরজা খুললো

আম্মু : ও তুই আয় বাবা । 

আমি ভিতরে গেলাম । 

আম্মু : যা ফ্রেস হয়ে আয় আমি গিয়ে ভাঁত বাড়তেছি । আমি হয়ে আসলাম । 


তার পর ভাত খেয়ে রুমে গেলমআমি রুমে গিয়ে ফারজানা কে কল দিলাম । 

কিছুক্ষন পর ফোন টা রিছিভ হলো । 

মেহেদি : ফারজানা, কি করো ?

ফারজানা : এই তো বসে আছি ।

মেহেদি : কোথায় ।? 

ফারজানা : ছাদে । তুমি কি করো শুনি, হুম ।

মেহেদি : এই সুয়ে আছি ।

ফারজানা : একটা কথা বলবো । 

মেহেদি :  বলো ।

ফারজানা : তোমার গার্লফ্রেন্ড আছে । 

মেহেদি : না কেনো ! 

ফারজানা  : (হেসেঁ) বলল কিছু না এমনি । 

মেহেদি : ও !

ফারজানার সাথে আর কিছুক্ষন কথা বলার পর ফোন টা রেখে দিলাম । এভাবে ১ মাস কেটে গেলো । এর মধ্যে ফারজানা ও আমার অনেক প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছে । আর মনে হয় আমি ও ।


তাই আমি ফারজানাকে বলে দেবো যে আমি ওকে ভালো বাসি । তাই আমি ফারজানা কে বললাম যে আজ আর কলেজে যাবো না । আজ আমরা পার্কে ঘুরতে যাবো । আর ফারজানা ও রাজি হয়ে গেলো তাই আমি একটা রিকশাওয়ালা কে ডাক দিলাম ।

এবং আমরা দুজনে রিকশায় উঠে পড়ি । 

তার পর আমরা পার্কের ভিতরে একটা সুন্দর জায়গায় গিয়ে বসলাম ।

ফারজানা : এই প্রকৃতিটা টা খুব সুন্দর এবং এই সময় টাও । মেহেদি : হুম ।

ফারজানা একটা কথা বলবো ?

ফারজানা : বলো ।

মেহেদি  : আমি তার সামনে গিয়ে দাড়ালাম  আর  আমার পিছন থেকে লাল গোলাপ বের করে হাটু বাকা করে বসে বললাম I Love U ফারজানা ।

ফারজানা : ঠাসসসস ঠাসসসস করে দুটো গালে লাগিয়ে দিলো ।

তোমার এই কথা টা বলতে এতো দেরি হলো ।

মেহেদি : কি করবো বলো আমার তো ভয় করে । যদি এটা বলি তাহলে যদি তুমি আমার সাথে আর না কথা বলো । তাই ।


দেখলাম ফারজানা আমাকে কে জড়িয়ে দরেছে । আমি তাকে জড়িয়ে দরলাম ।

কিছুক্ষণ ছাড়লাম না আর বললাম 

মেহেদি : কিছু খাবা ...

ফারজানা : হ্যা ফুচকা খাবো । 

আমি গিয়ে ফুচকা কিনে নিয়ে এলাম সব দেখি খেয়ে নিলে । এতো গুলো ফুচকা খেলে কি ভাবে ?...এভাবে আমাদের প্রেম শুরু হলো । তার ১ বছর পর আমরা বিয়ে ও করে নিই । 


মেহেদি + ফারজানা


প্রিয় ভাই বোন তোমাদেরকে বলছি, ভালোবাসা খেলার জিনিস নয় । ওটা দুটো বুকের ভিতরে রাখার জিনিস । কথা টা  বুজলা । 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url