নতুন বাংলা ভুতের গল্প : নুপুরের শব্দ

কিছুদিন আগের কথা । 

আমি ফুফাত ভাইয়ের বাড়ি গিয়েছিলাম । !

আমি আমার ফুফুতো ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার পর ও আমাকে দেখে অনেক খুশি হলো । 

ভুতের গল্প
ভুতের গল্প

ভাই : কত দিন পর আসলি । কয়টা দিন থেকে যাবি কিন্তু...

মেহেদি : ভাইয়া আমার বাসায় অনেক কাজ আছে । আব্বু ও খুব অসুস্থ । 

ভাই : অসুস্থ কবে কখন । কি হয়েছে ?

মেহেদি : এই ৭ দিন ধরে জ্বর চলছে । 

ভাই : একটু ও কি কমে নি ।

মেহেদি : আগের থেকে অনেক টা কমেছে । 

ভাই : তা জাইহোক না কোনো ওদিকে মামিকে একটু সামলিয়ে নিতে বলিস তো ।


এরই ভিতরে ফুফু আসলো । 

ফুফু : কিরে মেহেদি তুই তোর ফুফুর কথা ভুলে গেছি ।

মেহেদি : আরে না ।

তা কি ব্যাপার তুমি কেমন আছো ।

ফুফু : ভালো । 

ভাই : আম্মু দেখো মেহেদি নাকি চলে যাবে ।

ফুফু : আরে না । মেহেদি আমাদের বাড়ি তুই অনেক দিন আসিস  নি । কয়টা দিন থাকবি তার পর যাবি ।


আমি আর কিছু বলতে পারলাম না । আচ্ছা ঠিক আছে । .......

ফুফু : মেহেদি তুই তোর ভাইয়ের সাথে এখানে বসে একটু  বিশ্রাম নে । ওদিকে আমি রান্নার কাজ টা সেরে আসি।

মেহেদি : আচ্ছা । 


ফুফু চলে গেলো ।

আমি আর আমার ফুফুতো ভাই সুয়ে টিভি দেখছিলাম ।

তার ১ ঘন্টা পর ফুফুর ডাক । 

ফুফু : মেহেদি জিসান খেতে আসো ।


ও হ্যা আমার ভাইয়ের পরিচয় টা দেওয়া হয় নি ।

ওর নাম : জিসান 

১০ম শ্রেণিতে পড়ে । আর আমি পড়ি ৯ম শ্রেণিতে ওর এক ক্লাস নিচে ।

মেহেদি : জি ফুফু আসছি । চোলো ভাইয়া ।


আমার খেতে গেলাম । খাওয়া শেষ করে ঘরে আসলাম । ঘরে এসে একটু ঘুমালাম । আমি এশার আজানের একটু আগে উঠলাম । অনেক দূর থেকে আসলাম তো তাই অনেক ঘুম পাচ্ছিলো ।


আমি ভাইয়া কে ডাক দিলাম । 

মেহেদি : ভাইয়া , ভাইয়া দুবার ডাকার পর উত্তর পেলাম । 

ভাই : মেহেদি বারন্দার দিকে আয় ।


আমি বারানদাই চলে যাই

মেহেদি : ও তোমরা এখানে!

 ফুফু আর ভাইয়া এক জায়গায় বসে ছিলো।


মেহেদি : আচ্ছা ফুফু টিউবওয়েল টা কোথায় ।

ফুফু : দেখ ওই জাম গাছ টার দিকে আছে । জিসান তোর ভাইয়ের সাথে যা ।

মেহেদি : আমি একাই যেতে পারবো ।

ফুফু : এটা তোমার বাড়ি না । এখানে একটু সাবধানে চলবে । 

মেহেদি : কেনো ফুফু এখনে কোনো ভূত আছে যে আমাকে নিয়ে যাবে । 


জিসান আমাকে ফ্রেস করে নিয়ে গেলো ।আমি বললাম ভাইয়া চোলো একটু বাহিরে থেকে ঘুরে আসি ।

ভাই : তুই ঘরে চল অনেক কিছু বলার আছে । 


আর ভাইয়ের জেনো ভয় ভয় করছিলো আমি খেয়াল করলাম ও জেনো প্রতেক টা কথা ভয়ে ভয়ে বলছে । 

আমারা দুজনে ঘরে আসলাম এবং ফুফু ও আসলো । 

ফুফু : মেহেদি আমাদের এদিকে কেউ রাত ৯ টার পর আর বাইরে বের হয় না । 

মেহেদি : কেনো । ভূতে ধরে নিয়ে যাই কি ?

ফুফু : এক টানা ভূত ভূত  করিস না তো   ।

আর শোন খেয়ে দেয়ে নে । আমি ভাত বাড়তেছি । 


আমি আর কিছু বললাম না । আমি চুপ চাপ খেয়ে নিলাম । 

খাওয়ার পর ফুফু 

বলল 

ফুফু : শোন বাহির যাওয়ার চেষ্টা খুবই কম করবি বুজলি । আর যদি বেশি প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমাকে ডাকবি ।

মেহেদি : আচ্ছা , কিন্তু কেনো । 

ফুফু :  (খারাব ব্যাবহার করে) অত প্রশ্ন না করে ঘুমাতো ।


আমি আর কিছু বললাম না । আমি চুপ করে ঘুমিয়ে পড়ার ভান করলাম । ভাইয়া ও লাইট টা বন্ধ করে দিলো এবং এসে সুয়ে পড়ল । রাত ১১ টা বাজে । তখনো আমি ঘুমাই নি । আমার আবার সিগারেট খাওয়ার আসা জাগলো ।

আর আমি ভাবতেছি ফুফু আমাকে এসব কেনো বলল । ও সব জাঙ্গে জাগ আমি এখন সিগারেট খাবো কেমনে ভাবি । ফুফু বা ভাই কে বললে তো আমাকে জেতে দেবে না ।


আজ আবার পূর্নিমার রাত  .....তাই ভাবলাম আমি একা একা বাহিরে যাবো দেখি কি রকম কেউ ৯ টার পর বাইরে যাই না । 

আমি চুপি চুপি পা টিপ টিপে বাড়ির বাইরে বের হলাম । আমি বাজারের দিকে একটু তাড়াতাড়ি হাটা শুরু করলাম । না হয় তো দোকান বন্ধ হয়ে যাবে । প্রায় আমি 30 মিনিট ধরে হাটতেছি । পথ তো ঠিক আছে কিন্তু বাজারের কোনো আলো বাতি দেখছি না । আর একটু হাটার পর দেখলাম একটা বট গাছ । ওখানে একটা ঝুলনা টানানো আছে । আমি জেনো নুপুরের শব্দ পাচ্ছি ঝুম ঝুম । আমার ধীরে ধীরে ভয় টা জেন বেরে যাচ্ছে ।


কিছুক্ষন শব্দ টা আর পাচ্ছি না । হটাত্ জেনো কেউ আমার ঘারে হাত দিলো আমি পিছন তাকাতেই দেখলাম কেউ নেই কিন্তু একটা ঝামেলাই পড়ে গেছে । কারণ দেখি যে চার টা রাস্তার মুখ আমি তখন বুজতে পারছিলাম না যে আমি কোন রাস্তা দিয়ে এসেছি । কিছুক্ষন পর নুপুরের আওয়াজ টা এতো জরে আর ছিলো যে আমার কাট ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো । কিছুক্ষণ পর আমি একটা রাস্তা ধরে দৌরাতেছি । দৌরা তে, দৌরা তে , আমি একেবার বাড়ির কাছা কাছি চলে আসি । আমার চোখ দুটো অনেক জালা করছিলো আর বেথাও 


আমি চোখের পলক ফেলতে পারছিলাম নাহ ।

আর আমার কানটা প্রচুর যন্তনা করছিলো আমি ছটপট করছিলাম । 

আমি না পেরে ফুফু আর ভাই কে ডাক দিলাম । ওরা দুজনে এসে আমাকে ধরলো এবং ফুফু আর ভাই বল্ল : কি হলো তোর? তুই কোথায় গিয়েছিলি  

মেহেদি : ফুফু আমাকে পানি দেও তো ।

ভাই আমাকে পানি এনে দিলো । এবং আমি তাদের কে  সব খুলে বলাম । 

তারপর আমি শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম । এবং সকালে ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম

   

ভূত নেই জানি কিন্তু আপনার চোখের আরালে যে গুলো ঘুরে বেড়ায় ওগুলো কি!

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url